সৈয়দ শাকিল : করোনা মহামারীতে চলমান লকডাউনে সমাজের নিম্নআয়ের মানুষেরা হয়ে পড়েছে কর্মহীন। এতে করে তাদের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ রুপ নিয়েছে। দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর আশার আলো হয়ে ওঠেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ ।
অসহায় মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে চালু করেছেন ‘ফুড ফর হাংগরি মাউথ প্রোগ্রাম’।ঢাকার ১টি ও চট্টগ্রামের ৪টি স্থানে প্রতিদিন ২৫০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গত ৭ দিনে এতে করে খাবার পেয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।
শুধুমাত্র খাবার বিতরণই নয়, অসহায় মানুষদের আর্থিক সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সমাজের বিত্তশালী মানুষদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এটি তার একটি প্রতীকী কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন আর্থিক সহায়তা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন,
প্রথমে বলতে হয় আমার এই উদ্যোগ প্রতীকি। একজন পাবলিক ফিগার হিসাবে অন্যকে অনুপ্রেরণা দিতে এই উদ্যোগ এবং পাবলিসিটি। এই কাজ আমার দাতব্য কাজের মাত্র ২৫%, এছাড়া ৭৫% ক্যাশ ডোনেশন দেয়া হয় গোপনে, যেটা কেউ জানছে না। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কে সহযোগিতা করেছি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এনথোপ্রলজি ডিপার্টমেন্ট এবং আরো অন্য কিছু ডিপার্টমেন্ট। বেশির ভাগ অর্থই দান করি গরিব আত্মিয় স্বজনদের এবং প্রতিবেশীদের। ফুড ফর হাংগরি মাউথ প্রোগ্রাম, ৫০ প্যাকেট খাবার প্রতিদিন, চট্রগ্রামের ৪ স্থানে এবং ঢাকার এক স্থানে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন টোটাল ২৫০ প্যাকেট খাবার ভলান্টিয়াররা স্বইচ্ছায় বিতরণ করছে।
সমাজের বিত্তশালীদের বৈশ্বিক এই মহামারীর সময় মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “স্রষ্টার দোহাই আসুন সাধ্যমতো এদের ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। স্রষ্টা রুষ্ট হলে আমাদের সর্বনাশ হবে।”