সারাদেশে তাণ্ডব চালানো করোনা রোধে সরকারঘোষিত লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার দুশ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটি বণ্টনে যেন স্বজনপ্রীতি না হয় সেদিকে কঠোর সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ প্রণোদনা যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ নির্দেশনা দেন।
দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার ৩ হাজার দুশ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে চলমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের প্রত্যেকে পাবে নগদ আড়াই হাজার টাকা।
প্যাকেজগুলো হলো
১. দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
২. শহর এলাকার নিম্নআয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ১৫০ কোটি টাকা।
৩. ৩৩৩-নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।
৪. গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে (৪ শতাংশ সুদে) এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
৫. পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল, থিম পার্কের জন্য কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দিতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
এর আগে মহামারির ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।