মালয়েশিয়ায় অবৈধ বা অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মীদের চলমান বৈধকরণ কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার এক মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানায় মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। অবৈধদের চলমান বৈধকরণ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কেবিনেট সম্মত হয়েছে জানিয়ে নোটে বলা হয়-
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহিত মালয়েশিয়ার জাতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়ানোর ওই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে বলে মনে করে কতৃপক্ষ। চলতি মাসের ১ তারিখে অর্থাৎ ১লা জুলাই পর্যন্ত বৈধকরণ কর্মসূচির সময়সীমা নির্ধারিত ছিল জানিয়ে নোটে বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ বিদেশী কর্মী রিক্যালিব্রেশন প্লানের আওতায় এসেছেন বা রেজিস্ট্রিভুক্ত হয়েছেন। ওই কর্মসূচীর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে রেজিস্টিভুক্তদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে আগ্রহী তাদের জেল-জরিমানা মওকুফ করা। অর্থাৎ তাদের বিনাবাধায় নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার সুযোগ প্রদান। হিসাব বলছে, ১ লা জুলাই পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৮শ ৯২ জন বিদেশী শ্রমিক নিজ নিজ দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। সে মতে, ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮ শ ৮৯ জন ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন কর্সসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হতে আর্জি জানিয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগকর্তা জোগাড় করাসহ অত্যাবশ্যকীয় শর্তাবলি পূরণ করতে পারলে তারা কর্মের অধিকারসহ বৈধতা পাবেন।
সরকারী নোট মতে, বিদেশী কর্মীদের প্রতি অত্যধিক সদয় হয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবাহ এবং সারাওয়াক রাজ্যে কেন্দ্রের ওই কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তবে আওতা বাড়ানোর বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চুক্তির ওপর। উল্লেখ্য, ‘সোর্স কান্ট্রি’ হিসেবে পরিচিত ১৫ দেশের নাগরিকরা বৈধকরণ কর্মসূচির ওই সুযোগ নিচ্ছেন। যাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন বলে অনুমেয়।