খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালে এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক দুজনের একজন যে বাসে ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসের চালকের হেলপার। আটক ব্যক্তিরা হলেন জেলা সদরের গঞ্জপাড়ার মো. কামাল মাজি (২৯) এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম (২৪)। তাঁরা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের লোকাল বাসের চালকের হেলপার।
পুলিশের ভাষ্য মতে, কিশোরীর বাড়ি জেলা সদর এলাকায়। মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিল সে। গতকাল ভোর ৪টার দিকে সে বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছলে দুই দুষ্কৃতকারী তাকে জাপটে ধরে। প্রথমে তারা কিশোরীকে একটি বাসে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে আরেকটি বাসে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর কিশোরীটি সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে বাস টার্মিনাল থেকে ওই দুজনকে আটক করে।
এই ঘটনায় মেয়েটির মা-বাবার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশী মনো ত্রিপুরা জানান, মূলত টেলিভিশন দেখা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে মেয়েটির ঝগড়া হয়েছিল। এরপর রাগ করে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা মনে করেছিল সে প্রতিবেশী কারো বাড়ি গেছে। সকালে পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন মেয়ের খবর জানতে পারে।
খাগড়াছড়ি বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রতন ত্রিপুরা জানান, লকডাউনের কারণে অন্যান্য বাসের মতো এই বাসটিও টার্মিনালে ছিল। বাসের হেলপাররাই এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
ওসি রশিদ জানান, আলামত হিসেবে দুটি বাস পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।