রাজশাহীর পুঠিয়ায় মোবাইল ফোন চালাতে না দেয়ায় অভিমান করে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় নির্মাণাধীন বাথরুমের বাঁশের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে। আজ (২৭ জুন) রোববার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ওই স্কুলছাত্রীর নাম আম্মারা খাতুন (১৬)। সে উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের খুটিপাড়া গ্রামের কাউসারুল ইসলামের মেয়ে এবং চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, শনিবার রাতে যে কোনো সময় আম্মারা খাতুন তাদের নিজ বাড়ির নির্মাণাধীন গোসল খানার ভিতর বাঁশের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি তার পরিবার রোববার ভোরে দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন (পুঠিয়া সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেনহ সঙ্গীয় ফোর্স।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেয়ায় পরিবারের প্রতি তার অভিমান ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান ওসি।