পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কোনও ধরনের বৈঠকে বসবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি ওয়াশিংটন ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে না বসলেও পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় শক্তির আলোচনাকে সমর্থন দিয়েছেন দেশটির এই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
গত শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে রাইসি তাঁর এই অবস্থান জানান দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের রাইসি বলেন, তাঁর বৈদেশিক নীতিতে আরব উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়ন অগ্রাধিকার পাবে। ইরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরবকে এখনই ইয়েমেনে আক্রমণ বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
আগামী ৩ আগস্ট ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি।
‘ইরান পরমাণু চুক্তি-২০১৫’ নিয়ে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে রাইসি বলেন, ‘যেসব আলোচনায় আমাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে, আমরা ওই সব আলোচনায় সমর্থন দেব। আমেরিকার উচিত এখনই ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফেরত আসা ও চুক্তি অনুযায়ী সব শর্ত সম্পূর্ণরূপে পালন করা।’
ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের লাগাম টেনে ধরবে। বিনিময়ে ধীরে ধীরে দেশটির ওপর থেকে নানা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।