ঢাকার কদমতলী থানা এলাকায় একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাদের মেয়েসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বড় বোন মেহজাবীন মুন। মা, বাবা, ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি নিজেই।
একই সঙ্গে ওই পরিবারের শিশুসহ আরও দুজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মেহজাবিন মুনকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে পুলিশের জরুরি সেবা-৯৯৯ থেকে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। নিহত মাসুদ রানার বড় মেয়ে মেহজাবিন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে নিজেই জানায় বাবা, মা ও ছোট বোনকে খুন করেছি। আমাকে আইস্যা ধইরা নিয়ে যান। পরে আমরা গিয়ে ফ্ল্যাট থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করি। প্রত্যকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল।
তাদের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঠিক কি কারণে বা কিভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছেনা।
মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল জানান, তার বাসা কদমতলীর বাগান বাড়ি এলাকায়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে স্ত্রী সন্তানসহ তিনি শশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে তিনিসহ শশুর বাড়ির সবাইকে চা খেতে দেন মেহজাবিন। এরপরে কি হয়েছে তিনি আর কিছু বলতে পারেন না। শফিকুল পুলিশকে জানিয়েছেন তার স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির কারও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না তিন মাস ধরে। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকতো।
পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগের আলামত পাওয়া গেছে। যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল (২১)। হাসপাতালে যে দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে, তারা হলেন নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম (৪০) ও তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মারজান তাবাসসুম।