আগামী ১৩ জুন থেকে দেশে ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ফাইজারের টিকা দেশে এসেছে। আমাদের কাছে এখন এক লাখ ডোজের মতো টিকা আছে। আজ রাতে এর ডায়লুয়েন্ট (টিকার সঙ্গে মিশ্রণ করার উপাদান) আসবে। নিবন্ধন অনুযায়ী যার সিরিয়াল আগে আসবে তাকে এ টিকা দেওয়া হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে অগ্রাধিকার দেয়নি। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রেও কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। নিবন্ধন অনুযায়ী যাদের নাম আগে আসবে, তাদেরই আগে টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, চীন উপহার হিসেবে আমাদের পাঁচ লাখ সিনোফার্মের টিকা দিয়েছিল। আমরা এখন সেটা ব্যবহার করছি। আশার করছি আরও ছয় লাখ আগামী ১৩ জুন দেশে আসবে। আর এ টিকা দেশে আসার পর আমরা সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি একসঙ্গে চালাব।
জাহিদ মালেক বলেন, সিনোফার্মের সঙ্গে আরও দেড় কোটি টিকার জন্য চুক্তি হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা আমরা পাব বলে আশা করছি। পাশাপাশি সিনোভ্যাকও বাংলাদেশে তাদের টিকা তৈরি করতে চায়। সিনোভ্যাকের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং দেশে এই টিকা উৎপাদনের জন্যও সিনোভ্যাকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি এখনও ড্রাফট আকারে রয়েছে, সম্পূর্ণ হয়নি। তারাও আমাদের দেশে টিকা তৈরি করতে চায়