সকালে ঘুম থেকে উঠার পরই হালকা ক্ষুধা ভাব জেগে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে ভারী খাবার খেতে মন চায় না বলেই হালকা খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত এই হালকা খাবারকে আমরা ব্রেকফাস্ট বা নাস্তা বলে থাকি। অনেকে সকালের নাস্তায় ভাত খেয়ে থাকেন। এটি একদমই ঠিক নয়, এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। দিনের প্রথম প্রহরেই শরীরে শর্করা প্রবেশ না করানোই ভালো।
সকালের নাস্তায় আটার রুটি খাওয়া ভালো। রুটি থেকে তৈরি হওয়া গ্লাইকোজেন ভাতের তুলনায় দ্রুত সময়ে গলে। এছাড়াও সঙ্গে টক দই, ডিম ও হালকা তেলের সবজি বা চিকেন স্যুপ খেতে পারেন। কখনোই লুচি-পরোটা রাখবেন না। ময়দায় ফাইবার থাকার পাশাপাশি নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে। বরং এর থেকে দুধের সঙ্গে ওটস খাওয়া ভালো। এসব খাবার খাওয়ার ফলে যেমন পেট ভরবে আবার তেমনি পুষ্টিগুণও বাড়বে।
সব থেকে ভালো হয় মৌসুমি ফলমূল খাওয়া। মৌসুমি ফল দিয়ে নাস্তা করার ফলে বছরব্যাপী পাওয়া সকল ফলের পুষ্টি গুণাগুণ প্রবেশ করবে শরীরে। এছাড়াও কলা, আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুর রাখতে পারেন সকালের নাস্তায়। দুটি কলা, ১টি আপেল, ১টি কমলা, ২/৩টি স্ট্রবেরি দিয়ে নাস্তা করা স্বাস্থ্য উপকারী। এছাড়াও ফলমূল দিয়ে সালাদের মতো করে খেতে পারেন। কেউ চাইলে ফলমূলের জ্যাম-জেলি দিয়েও নাস্তা করতে পারেন।
যে সকল মানুষের সকালে ভাত খাওয়ার অভ্যাস তারা ভাতের পরিবর্তে খিচুড়ি খেতে পারেন। তবে তা যেন সবজি খিচুড়ি হয়। চালের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে সবজি খিচুড়ি রান্না করা যেতে পারে। এতে করে ভারী নাস্তা করাও হবে পাশাপাশি শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণও পৌঁছাবে।