ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টানা তিন ম্যাচে জিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরের পর ছবিটা যে বদলে যাবে সেটা অনুমিতই ছিল।
স্বাগতিক কিউইদের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ৩০ পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই থেকে বাংলাদেশ নেমে গেছে পাঁচে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছয় ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট সেই ৩০।
এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরেও আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের তালিকায় ভারত ও পাকিস্তানের ওপরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কারণ সেরা পাঁচে নেই এই দুটি শক্তিশালী দেশ।
টাইগারদের নিচে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকা। আর সমান ৩০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের চেয়ে রানরেট বেশি থাকায় তিনে আসগরের দল। তবে ষষ্ঠ স্থানে থাকা উইন্ডিজের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে তামিম বাহিনী।
তিন ম্যাচে ২ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান আছে সাত নম্বরে। ৫ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে ভারত। ৩ ম্যাচে এক জয় নিয়ে নয় নম্বরে জিম্বাবুয়ে, ৬ ম্যাচে এক জয়ে দশে আয়ারল্যান্ড। ৩ ম্যাচ খেলে একটিতেও না জেতা শ্রীলংকা আছে এগার নম্বরে।
শুক্রবারের ম্যাচ জিতে এই তালিকার শীর্ষে উঠেছে ইংল্যান্ড। ৮ ম্যাচ খেলে এইউন মরগ্যানের দল ৪টি জিতে যোগাড় করেছে ৪০ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে।
সমান তিনটি করে ম্যাচে তিনটিই জিতে ৩০ পয়েন্ট করে পেয়ে তালিকার তিন নম্বরে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ সুপার লিগে কোনো ম্যাচ না খেলায় তারা পয়েন্ট তালিকার বাইরে রয়েছে।
আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস লড়বে সুপার লিগে। জিতলে প্রতি ম্যাচে ১০ পয়েন্ট এবং ম্যাচ পরিত্যক্ত, টাই কিংবা অমীমাংসিত থাকলে পাঁচ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি হবে। স্লো ওভার রেটের কারণে কাটা যাবে পয়েন্ট। প্রত্যেক দল তিন ম্যাচের চারটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। শেষ পর্যন্ত শীর্ষে থাকা সাতটি দল স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে সরাসরি জায়গা পাবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে।