একই শহরে ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক পণ্য ক্রেতার কাছে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য যে কোনো আদালতে মামলা করতে পারবেন ক্রেতা।
যে সকল প্রতিষ্ঠান ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ই-কমার্স পরিচালনা করছেন সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও ভ্যাট নিবন্ধন থাকতে হবে।
এদিকে যে সকল কুরিয়ার সার্ভিস ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ ব্যবস্থায় ই-কমার্সের পণ্য ডেলিভারি করে ক্রেতাদের থেকে নগদ মূল্য নিয়ে থাকে সেসব অর্থ ব্যাংকিং সিস্টেমে বাধ্যতামূলক করার জন্য একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা খসড়া তৈরি করে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের জন্য পাঠিয়েছে ব্যাংকটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা মনে করছেন নীতিমালার মাধ্যমে ই-কমার্সখাতে শৃঙ্খলা বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২১ মার্চ) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ শিরোনামের নীতিমালা নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে কোনো মতামত পাওয়া গেলে তা সংযোজন-বিয়োজন করে আগামী মাসেই জারি করা হবে।
এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানিয়েছেন, আধুনিক এই সময়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে ই-কমার্স দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এবং বেকারত্বের সংখ্যা কমছে। এই খাতকে কঠোর নীতিমালায় আটকে দিলে অগ্রগতির এই বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আশা করছি এমন কোনো শর্ত রাখা হবে না যাতে করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হয়।