Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

ভ্যাকসিন নিয়ে ধূম্রজাল কেটে গেছে: র‍্যাব ডিজি

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল সেটা কেটে গেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা চলে এসেছে। মানুষ এখন দলে দলে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে র‍্যাব ফোর্সেস-এর ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার জন্য মানুষ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সফলভাবে মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। দেশে খুব ভালোভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে টিক নিচ্ছেন।
র‍্যাবের টিকা দান কার্যক্রম কোথায় কোথায় চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সদরদপ্তরের যেহেতু লোক সংখ্যা বেশি সেই জন্য এখানে আমরা আলাদা ভাবে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ব্যাটেলিয়ানগুলো সিভিল সার্জনের ও মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা টিকা নিচ্ছেন। এছাড়া সিলেটে আমাদের অধিকাংশ লোক টিকা নিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমাদের সদস্যরা টিকা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করে র‍্যাব সদস্যদের পরিবারের লোকজন ও সাধারণ মানুষ র‍্যাব সদরদপ্তরে টিকা নিতে পারবেন।
র‍্যাব ডিজি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সকলের সহযোগিতায় আমরা করোনা ভাইরাসের টিকা পেয়েছি। র‍্যাবের সদস্যসহ সারা দেশের মানুষ এখন টিকা নিচ্ছেন। কিন্ত পৃথিবীর অনেক দেশেই এখনো করোনার টিকা পাইনি। তবে আমরা উন্নত অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম থেকেই টিকা পেয়েছি। আমাদের দেশের এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন।
করোনার সময়ে র‍্যাব সদস্যদের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার প্রথম শুরু সময় থেকে র‍্যাব সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিনযুক্ত খাবার, জিংক ট্যাবলেট ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট প্রদান কার্যক্রম। আবাসন ইউনিটগুলোকে আমরা আমরা জীবাণু মুক্ত করেছি। আমাদের সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সেসব জায়গা আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করেছি। ভিডিও মনিটরিং এর মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকি করেছি। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।
করোনায় র‍্যাব সদস্যদের আক্রান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় র‍্যাবের ১০ হাজার সদস্যদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে র‍্যাব সদস্যদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা কম ছিল মাত্র ৬ জন। যদিও আমাদের কাছে প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা কাজ করেছি।
করোনার সময় র‍্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল উল্লেখ করে র‍্যাব ডিজি বলেন, করোনা মহামারি শুরু থেকে আমাদের অভিযান কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছি । র‍্যাবের প্রতিটি সদস্যকে স্বাস্থ্যসচেতন করে জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিয়েছি। এই জন্য করোনা কালীন আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম কমে যায়নি। এছাড়া হেলিকপ্টার দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আমারা এনেছি এবং তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
এ সময় র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার ও র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ টিকা নিয়েছেন।
Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top