উপদেষ্টা সম্পাদক, হাজী এম এ কাইয়ুম চুন্নু মুন্সী:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা ডি.এম. খালী ইউনিয়ন এর বাজারে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রি ও পচা মাংস সংরক্ষণের দায়ে কসাই মহন তফদারকে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার ডিএমখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই রোগাক্রান্ত গোশতগুলো পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কসাই মহন তফাদার (৫৮) উপজেলার সখিপুর মাদবর কান্দি গ্রামের মৃত মমিন আলী তফাদারের ছেলে। জানা যায়, গোশত বিক্রেতা কসাই মহন তফদার রোগাক্রান্ত একটি গরু কিনে ডিএমখালি বাজারে মাংস বিক্রি করতে এলে স্থানীয় লোকজন তা সখিপুর থানা পুলিশকে জানায়। দুপুরের দিকে পুলিশ অসুস্থ গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগে মহন কসাইকে গ্রেফতার করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় মহন তফদার দোষ শিকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে পশু জবাই ও গোশতের মান-নিয়ন্ত্রণ ২০১১ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেঘনাথ সাহা বলেন, অসুস্থ গরুর গোশত খেলে মানুষ অ্যানথ্রাক্সসহ অন্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আল নাসীফ বলেন, রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রি ও মাংস সংরক্ষণের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মাংসগুলো পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যেন খাওয়ার অনুপযোগী গোশত বিক্রয় না করে, সে বিষয়ে সব ব্যবসায়ীকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েই আসামিকে গ্রেফতার করেছি, তবে মৃত গরুর গোশত কিনা তা জানার জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছি রিপোর্ট আসলে তখন বিস্তারিত বলতে পারব।