মঙ্গলবার
প্রকাশিত: ৮ই ডিসেম্বর ২০২০ সময় রাত ৯ টায়
মোঃ রেজাউল করিম বাগমারা প্রতিনিধিঃ জোড়াতালি দিয়ে চলছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর। সেবা না পেয়ে হতাস হয়েছেন এলাকার গবাদী পশুসহ বিভিন্ন খামারীরা। দীর্ঘদিন থেকে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরে, কর্মকর্তা, কর্মচারী সংকটের কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। অবিলম্বে জরুরী ভিত্তি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে দিয়ে এলাকার সাধারন খামারীসহ পশু পালনকারীদের সেবা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে দপ্তরটির ১১ টি পদের মধ্যে ০৮ টি পদই শূন্য রয়েছে। বেশ কিছু দিন থেকে প্রানী সম্পদ দপ্তরে একজন কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে চলতো দপ্তরের কার্যক্রম। অনিয়মের কারনে কয়েকদিন পূর্বেই দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ভেটেরীনারী সার্জন ডাঃ আতিবুর রহমানকে অন্যত্রে বদলী করা হয়। তার বদলীর পর পরই উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তরের সকল কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। প্রতিদিন এলাকার ৩০ থেকে ৫০ জন্য ব্যক্তি গরু,ছাগলসহ অন্যান্য প্রানীদের চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রানী সম্পদ দপ্তরের এমন কর্মকান্ডে সরকারের উন্নয়নের খাতকে বাঁধা গ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করছেন।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সরকার দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য হাঁস, মুরগী,গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের খামার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের এমন নির্দেশনার কারনে এলাকার কয়েকশ যুবক তাদের খামার গুলো তৈরী করেছেন। খামার গুলো তৈরী করে তারা বেকায়দায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।
বাগমারা গ্রামের হাঁসচাষী জালাল উদ্দীন জানান, প্রানী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক নেই। গত কয়েখ দিন থেকে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে তার খামারের হাঁসের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবা মহল্লার গোপাল চন্দ্র মহন্ত জানান, তার খামারে ২৬ টি বিভিন্ন প্রজাতীর গরু ছিল। প্রানী সম্পদ দপ্তরের সহযোগীতা না পেয়ে তার খামারের গরু গুলো বিক্রি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রানী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা না থাকায় এলাকায় একাধিক গরুর খামার বন্ধ করে দিচ্ছে।
উপজেলার গোয়ালকান্দি গ্রামের মুরগী খামারী সাজেদুর রহমান বলেন, তার খামারটি অনেক পুরাতন। তার খামারে বিভিন্ন পপ্রজাতীর মুরগী রয়েছে। মুরগীর ভ্যাকসিন না পাওয়ায় মুররগী গুলো মরে যাচ্ছে। তিনি তার মুরগীর খামার বন্ধ করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, প্রানী সম্পদ দপ্তরের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। বিষয়টি তিনি সরকারের উপর মহলকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তিনি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত প্রানী সম্পদ দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী আনার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।