প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২০; সময়: ৭ টা
বাাগমারা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় ব্লেসিং এগ্রোভিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঔষুধ ব্যবহার করে সর্ব শান্ত হলেন পটল চাষী কৃষক মিজানুর রহমান। ওই কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার আশরাফুল ইসলামের প্রেসকিপশন অনুসারে ঔষুধ ব্যবহার করেই তিনি ক্ষতির সম্মুখিন হন জানা গেছে। ওই ঘটনায় কৃষক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মার্কেটিং অফিসার ও ডিলারের বিরুদ্ধে ক্ষতি পূরনের দাবী জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটল চাষী মিজানুর রহমান তার পটল ক্ষেতে কি ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে ফসল ভাল হবে ঔষুধ কিনার জন্য তিনি ভবানীগঞ্জ আক্তার এন্টারপ্রাইজে যান। সেখানে ব্লেসিং এগ্রোভিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মার্কেটিং অফিসার আশরাফুল ইসলাম কৃষক মিজানুর রহমানকে তার কোম্পানীর ঔষুধ হাইগ্রো ৩০ মিলি ও ব্লেজেব ব্লু পটল ক্ষেতে ব্যবহারের জন্য বলে। মার্কেটিং অফিসারের কথামত কৃষক মিজানুর রহমান ঔষুধ কোম্পানীর ঔষুধ গুলো ক্রয় করেন এবং তার পটল ক্ষেতে ব্যবহার করেন। ঔষুধ গুলো ব্যবহারের পর পরই তার ক্ষেতে পটল গাছ গুলো পুড়ে যায়। পটল গাছ পুড়ার কারনে তার তিন লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার এক মাত্র উপার্জনের জায়গাটুকু হচ্ছে পটল ক্ষেত। তিনি প্রতি সপ্তাহে পটল ক্ষেত থেকে পাঁচ হাজার টাকার পটল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেন। তার আর বেচার মত কোন কিছু নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মার্কেটিং অফিসার আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একজন মার্কেটিং অফিসার শুধু ঔষুধ বিক্রি করতে পারেন। তিনি কৃষককে কোন সময় প্রেসক্রিপশন বা ক্ষেতে ঔষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিতে পারেন না। আগামী কাল বুধকার তিনি পটল ক্ষেত পরিদর্শন করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।