যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাথে এশিয়ার কি সম্পর্ক তা নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে জাপানের সর্ববৃহৎ সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং চীনের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। এনএইচকের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি এবারা মিকি ছিলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কিংবা জো বাইডেন যিনি-ই নির্বাচিত হন না কেন তার প্রভাব যে সারা বিশ্বে পড়বে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এবারা মিকি বলেন, করোনাভাইরাস এবং চীন এ দুটি বিষয় এবারের নির্বাচনের মূল ইস্যু। বাইডেন নির্বাচিত হলে ট্রাম্পের মতো সরাসরি করোনাভাইরাসকে ‘চায়না ভাইরাস’ বলা থেকে হয়তো বিরত থাকবেন, কিন্তু চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না। কারণ নির্বাচনী প্রচারণা দেখে মনে হচ্ছে দুজনই কে কার চেয়ে বেশী চীনের বিষয়ে কঠোর হবেন তা নিয়ে যেনো প্রতিযোগিতা চালাচ্ছেন৷ তবে বাইডেন নির্বাচিত হলে ‘হংকং’ এবং ‘জিনজিয়াং (উইঘুর মুসলিম ইস্যু)’ এর মতো মানবাধিকার ইস্যুগুলো বেশি গুরুত্ব পাবে। একজন আলোচক বলেন, বাইডেন নির্বাচিত হলেও চীনের সাথে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
ট্রাম্প জাপানসহ, জার্মানি, কোরিয়ার মতো সহযোগী রাষ্ট্রগুলোকে নিজ নিজ দেশের মার্কিন সেনাদের খরচ মেটাতে আরো বেশি অর্থবরাদ্দ দিতে চাপ দিচ্ছেন এবং তিনি আবারো নির্বাচিত হলে সেই চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করেন এবারা মিকি। তিনি বলেন, বাইডেন নির্বাচিত হলে কি হবে তা বলা যাচ্ছে না।
তবে যে-ই নির্বাচিত হোন, যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সুসম্পর্ক দুইদেশের জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনে কে জিতবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এবারা মিকি বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় এবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং জরিপগুলো আরো অনেক সঠিক এবং ভালোভাবে করা হচ্ছে বলা হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ট্রাম্প সমর্থকের সাথে আমার কথা হয়েছে৷ তারা বলছেন, ‘আমরা সংখ্যায় অনেক, কিন্তু কাকে ভোট দেবো তা জনসম্মুখে প্রকাশ করছি না এবং প্রচারণাও চালাচ্ছি না এই ভেবে যে আমরা আক্রমণের শিকার হতে পারি৷ ‘
অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে এবারা মিকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যাকেই ভোট দেন না কেনো, তার প্রভাব জাপান, এশিয়া তথা গোটা বিশ্বের উপরই পড়বে। সুতরাং প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ।