সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার দায়ে নুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কথিত ভণ্ডপীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা সদরে মুসল্লিরা তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মুসল্লিরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুখুরিয়া গ্রামের মৃত গোলাপ সিকদারের ছেলে কৃষক নুরুল ইসলাম তার নিজ শয়ন কক্ষে রাখা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখে। বিষয়টি তার স্ত্রীর নজরে এলে কোরআন শরীফের উপর মোবাইল রাখতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরুর একপর্যায়ে ভণ্ডপীর নুরুল কোরআন শরীফ বাড়ির পাশের কাদা-মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ করলে সে মহান আল্লাহ তা’আলাকে নিয়ে কটূক্তি করে এবং কোরআন শরীফে লাথি মারে।
এ ঘটনা বুধবার সকাল জানাজানি হলে স্থানীয়রা তার বাড়ি ঘেরাও করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
এদিকে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে স্থানীয় আলেম-উলামারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এসময় শিক্ষক আবদুল হাই ও চৌহালী সরকারি কলেজের ভিপি রবিউল মোল্লা, মুহতামিম হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসেন, ইমাম নুরুল ইসলাম ও সমাজসেবক সোলায়মান সিকদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান ও সমাজসেবক আবদুল হাকিম জানান, কথিত ভণ্ডপীর নুরুল কোরআন অবমাননা করে নাস্তিকে রূপান্তর হয়েছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মির্জা সেলিম বলেন, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিজেকে পীর দাবি করে আসছে। কোরআন অবমাননার ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে চৌহালী থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দিয়ে জেলহজতে প্রেরণ করা হবে।