হঠাৎই ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা বন্ধ। ইতোমধ্যে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের মতো পেঁয়াজ আবারও ‘সোনার চেয়ে দামি’ হয়ে উঠবে না তো? এমনই প্রশ্ন এখন জনমনে।
তবে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ৯টি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে সরকারের যে ৯টি উদ্যোগের খবর পাওয়া গেছে সেগুলো হচ্ছে:
১. মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দেশের আট বিভাগীয় কমিশনার, দেশের ৬৪ জেলা প্রশাসকের নিকট বাজার মনিটরিং জোরদারকরণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২. ফরিদপুর, পাবনা, রাজবাড়ি ও নাটোর- এই তিন জেলার জেলা প্রশাসকদেরকে পেঁয়াজের উৎপাদন, মজুত, সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বাণিজ্য সচিব ডিও লেটার দিয়েছেন।
৩. পেঁয়াজের বিষয়ে দ্রুত সংগনিরোধ সনদ ইস্যু করার জন্য কষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
৪. পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকদের এলসি খোলাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৫. পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থলবন্দর থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড় করতে এবং আমদানিকারদেরকে সহযোগিতা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৬. পেঁয়াজের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আপাতত প্রত্যাহারের জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানেরে কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৭. পেয়াজের বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করা পেঁয়াজ বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, ও হিলি স্থলবন্দর থেকে দ্রুততম সময়ে ছাড় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৮. পেঁয়াজের উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য যোগাড় করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনজন যুগ্ম-সচিবকে পাবনা, নাটোর, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।
৯. স্থল ও নদী বন্দরে পেঁয়াজের আমদানি পরিস্থিতি, কন্টেইনার জট ও কৃত্রিম সংকট আছে কিনা তা দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।