রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের সময় কার্যকর পদক্ষেপ নিলে নিহত পাঁচ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তদন্ত কমিটি। এমনকি সরকারের আরও দুটি সংস্থা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, হাসপাতালটির অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির বেশিরভাগই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ও অকেজো।
এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা রোববার (১৪ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্টে বেঞ্চে মোট তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। আগামী ২২ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও রাজউকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অন্যদিকে হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। আর রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নিয়াজ মাহমুদ।
রিটকারীর আইনজীবী নিয়াজ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রপক্ষ তিনটি সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছে। এসব রিপোর্ট পর্যালোচনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাখ্যা দাখিল করবে বলে আদালতকে জানিয়েছে। তবে তিনটি রিপোর্টেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা পাওয়া গেছে। তাই আমরা আদালতের কাছে আজই প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত আদেশের জন্য আগামী ২২ জুন দিন ধার্য করেন।’