প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ রোগের চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায়ও আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রেখেছি। তাই আমি বলব, যদি কেউ মনে করেন যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা করোনার কোনো নমুনা শরীরে দেখা দিচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।’
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) আক্রান্ত হলে বিষয়টি লুকানোর কিছু নয়। এই রোগের যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র ডাক্তার দেখাবেন, পরামর্শ নেবেন। এবং সে অনুযায়ী চলবেন। সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আইইডিসিআর থেকে প্রতিনিয়ত দেশবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। তারা যেসব সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিচ্ছেন সেটা অবশ্যই সবাইকে মেনে চলতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের দেশটাকে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারব।’
তিনি যোগ করেন, ‘বিদেশ থেকে কেউ আসলে তার সঙ্গে মিশবেন না। তাকে অন্তত কিছুদিন আলাদা থাকতে দেবেন।’
করোনাভাইরাস বিষয়ে আতঙ্কিত না হতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিন্তু আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকবেন। যে যে কাজগুলো করলে এ রোগ ছড়ায় সে কাজ করবেন না। যেখানে সেখানে কফ, থুতু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দিলে রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন। যানবাহন রাস্তাঘাটে বা কোথাও গিয়ে কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন না। হাতে হাত মেলাবেন না। কোলাকুলি করবেন না। এগুলো থেকে আপাতত দূরে থাকুন।নিজে ভালো থাকবেন, অপরকে ভালো রাখবেন।’
অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।