ঢাকার ওয়ারীতে ৬ বছরের স্কুল ছাত্রী সায়মা আফরিনকে ধর্ষন ও হত্যার দায়ে আসামি হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।
আদালতের এ রায়ে সায়ামার বাবা মা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণাকালে মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদও আদালতে উপস্থিত ছিলো। আদালত এবং বাদি পক্ষের আইনজীবীরা বলছে, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচার সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এ বছরেরই ২ জানুয়ারি সায়মা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। সেদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ৯ মার্চ ঠিক করেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর ওয়ারীর একটি বাড়ির ৯ তলায় শিশু সায়মার লাশ পাওয়া যায়। ওই বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো। আসামি হারুন তার জবানবন্দিতে বলেছে, ঘটনার আগে ভবনের লিফট দিয়ে নামার সময় সায়মার সঙ্গে দেখা হয় তার। লিফটেই সে সায়মার সঙ্গে খারাপ কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ছাদ দেখার কথা বলে সায়মাকে ছাঁদে নিয়ে যায়। ছাঁদে নিয়ে সায়মাকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সায়মা চিৎকার করতে থাকে। মুখ চেপে ধরে সায়মাকে সে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে সায়মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন হারুন ভয় পেয়ে যায়। সায়মার জ্ঞান ফিরলে সে হারুন কে বলে যে, মানুষের কাছে এই ঘটনা বলে দিবে । আর তাই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে, হারুন সায়ামাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে সায়মাকে টেনে নিয়ে রান্না ঘরের সিংকের নিচে ফেলে দেয়। সেদিনের পর থেকে হারুন পলাতক ছিলো। |
শিশু সায়মা হত্যায় হারুনের মৃত্যুদণ্ড
Share!