স্বাধীন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় হলো পিলখানায় তখনকার বিডিআর (বর্তমান বিজিবিদের) করা বিদ্রোহ। সেদিন তারা নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছিলো পিলখানার ভিতরে।
২০০৯ সালের এই দিনে তারা হত্যা করেছিলো ৫৮জন সেনাসদস্য। পিলখানা অবরোদ্ধ করে রেখেছিল ২৫,২৬ ফেব্রুয়ারি। আজ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকী।
রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে সকাল ৯টায় শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব।
প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তখন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।
পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়াও এদিন সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয় এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকল স্তরের সেনাসদস্যের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মােনাজাতের আয়ােজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মােহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মােস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।