আসামে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুয়াহাটিতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এ বিল পাস হয়। পরে নিম্ন কক্ষে এটি অনুমোদনের পরেই সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়। হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে অনন্ত চারটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য শহরসহ ১০টি জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সেসব স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে সেসব এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী মৃত্যু হয়েছে। অনেক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও রয়েছেন। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সর্নাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ্রর তেলি বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন।
সমালোচকরা বলছেন, বিলটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এটি সমর্থন করছে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে দেশটির মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিলটি অবৈধ ঘোষণার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের দায়ের করা সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে বলা হয়েছে, বিলে সাম্যতা, মৌলিক অধিকার এবং জীবন রক্ষা অধিকারের অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে।