দেশের দুর্গম এলাকা পাহাড়ি জনপদে শিক্ষার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাহাড়ি এলাকায় আবাসিক স্কুল হবে। এছাড়া কোন এলাকার, কোন পয়েন্টে স্কুল করলে ওই সব এলাকার শিশুরা (পাহাড়ি) পড়তে পারবে, সে বিবেচনায় আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ে আবাসিক স্কুল করে দেওয়া- কারণ বাচ্চাদের হেঁটে হেঁটে যেন অনেক দূরের পথ যেতে না হয়। এছাড়া সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যারা আছেন, তাদের উন্নয়ন করা দরকার। পাশাপাশি উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সিলেটেও রয়েছেন নৃ-গোষ্ঠী, উন্নয়ন তাদেরও হবে। সমাজে সব শ্রেণীর মানুষের জন্যই চাই উন্নয়ন, উন্নত জীবন।
প্রধনমন্ত্রী বলেন, হিজড়া সম্প্রদায়কে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। এছাড়া হরিজনও রয়েছেন। বাংলাদেশ সবার। সব ধর্মের জন্য এই দেশ। সবার ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। সমাজে প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্নত জীবনই আমাদের লক্ষ্য, সে জন্য সবার দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছি আমরা।
কমিউনিটি ক্লিনিকে হচ্ছে সুস্বাস্থ্য সেবা। শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন সমাজের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মানুষ। আসলে শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না। সেজন্য আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতায় এসে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বক্তব্যের আগে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তি পত্র তুলে দেন।