৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যাওয়ার পর ৩১ ডিসেম্বর সাধারণ জনগণ ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা যেন তাদের মোবারকবাদ দিতে পারে, তেমন কিছু কাজ আওয়ামী লীগকে করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারা তো ইনশাআল্লাহ হেরে যাচ্ছেন। এরপর জনগণ আপনাদের কিভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। আপনাদের নেতা-কর্মীদের জনগণকে মোবারকবাদ দেওয়ার সুযোগ করে দিন।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনীতি ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কাজ দেখিয়ে, তথ্য দিয়ে মানুষের উদ্বিগ্নতা দূর করুন। এটা তো আপনাদের জন্য অনেক সহজ কাজ। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই সব ধরনের তথ্য আছে। মন্ত্রণালয়কে বললেই তারা সেটি প্রকাশের ব্যবস্থা করতে পারে, যা অন্য কারোর জন্য অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এ সময় জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ভোটাধিকার না দেওয়ার শতভাগ ব্যর্থতা জনগণের নিজের। ক্ষমতার মালিক জনগণ, এটাতো কাগজ দেখিয়ে বলার কিছু নেই। নীরব-নিষ্ক্রিয় হলে চলবে না। দেশের মালিক ১৮ কোটি মানুষ। এর অর্ধেকও যদি একত্রে হয়ে মালিকানা নিজেরা ভোগ করতে চাই, তবে কেউ তা রুখতে পারবে না।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা সব সময়ই মাঠে আছে। আমি নিজেও সব সময় কথা বলছি জনগণের সঙ্গে। আপনাদের মধ্য দিয়েও কথা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদেরও বোঝাচ্ছি, আমরা আছি।
এ ছাড়াও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, রোগের কারণ চিহ্নিত করার পরে তো চিকিৎসা। কিন্তু আমরা তো রোগ সম্পর্কেই জানতে পারি না, না হলে রোগে আক্রান্ত ৩২১ জন বিনাবিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় কেন? তা আমাদের জানানো উচিত। কেননা বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক তালুকদার মনিরুজ্জামান মনিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।