মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিতর্কিত মন্তব্যের’ অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে ‘বিতর্কিত বক্তব্যের’ অভিযোগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের একটি আদালতে পৃথকভাবে এক কোটি টাকা করে উভয়ের বিরুদ্ধে এ মানহানি মামলা দায়ের করা হয়।মামলা দুটি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ।
নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ জাকারীয়্যা মামলা দুটির বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১১ ফেব্রুয়ারির ২০১৬ -এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
অপর মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।বাদী শেখ আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ হওয়ায় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বিতর্কিত বক্তব্য এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছি।প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর একই আদালতে নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জুডিশিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
Share!