আগামী ২৯ অক্টোবর ঘোষিত হবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়। মঙ্গলবার দুপুরে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য করেন। এর আগে রবিবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তিনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা এ মামলার বিচার চালানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তার করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত ২৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই চ্যারিটেবল মামলার বিচারকাজ চলমান রাখার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি আবেদন দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ছাড়া আর একবারো আদালতে হাজির হননি খালেদা জিয়া। এ কারণে দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ব্যতিরেকেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছাড়াই এ মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আর মনিরুল ইসলাম খান জামিনে ও জিয়াউল ইসলাম মুন্না কারাগারে আছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।