Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে করণীয়

কোরবানির পশু জবাইয়ের পর যে বিষয়টি সবচেযে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা। আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনে যত্রতত্র পশু কোরবানি করে থাকি। এটি ঠিক নয়।

পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তবে তা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

আর এই বর্জ্য আমাদের জন্য মারাত্নক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাই কোরবানি করার পরবর্তী সময়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।

আসুন কোরবানির পরে অবশ্যই করণীয় বিষয়গুলো জেনে নেই।

বর্জ্য অপসারণ

কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরী। গরু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে।আর আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্তপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট

পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট (অর্ধহজমযুক্ত খাদ্য/গোঘাষি) বের করে যত্রতত্র ফেলে দিলে তা পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে। তাই যথাযথ স্থানে ফেলতে হবে।

গরম পানি

যে স্থানটিতে পশু জবায় করবেন ওই স্থানটি সম্ভব হলে গরম পানি ঢেলে পরিষ্কার করতে পারেন অথবা ঠান্ডা পানি হলেও চলবে। তবে পানি দিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে দূর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবনুমুক্ত হবে।

সিটি করপোরেশন

গুরুর জবাই ও মাংস বানানোর কাজ শেষ হলে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগায়োগ করতে পারেন। তারা আপনাকে সহযোগিতা করবেন।

সেভলন

বর্জ্য পরিষ্কারের পরে যে কাজটি করতে হবে সেটি হোল আপনার হাত, পা ও সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। পরিস্কারের জন্য সেভলন ব্যবহার করতে পারেন।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top