প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময়ই ড্রাইভারদের ট্রেনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু ট্রেনিং না দিয়ে ড্রাইভারদের গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে ওভারটেকিং বা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা যাবে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যামেরা ফিট করে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সামনে আন্ডারপাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাসচালকদের ক্ষমা করা যায় না। আমরা তাদের কখনও ক্ষমা করব না। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
সরকার শিক্ষার প্রতিটি স্তরে গুণগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য একটাই সেটি হচ্ছে দেশের মানুষকে সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া। সুখী সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তোলা। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে নি। তাই আমরা বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রাইম মিনিস্টার সহায়তা ট্রাস্ট করে দিয়েছি।
এর আগে আজ সকালে রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ প্রাঙ্গণে আন্ডারপাসের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন তিনি। এরপর প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন।