নিরাপদ সড়কের জন্যে যারা অন্যের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করেন, আজ তাদেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে হচ্ছে। ঠিক দেখাতে হচ্ছে বলবো না, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেখাচ্ছেন। ছবির ভাষা তাই বলে। এটা আন্দোলনের ফল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর-কিশোরীদের আন্দোলনের পরিণতি।
ছবিতে দুই পুলিশ সার্জেন্টকে হাসিমুখে তাদের লাইসেন্স প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবির অর্থ যদি এমন ধরে নেয়া যায় যে, যারা লাইসেন্স পরখ করেন তাদেরও বৈধ লাইসেন্স থাকা উচিত, আর তাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন তারা। এমনটা ভাবতে দোষ নেই নিশ্চয়ই?
এই ছবিটি দেশের সকল গাড়িচালকের বৈধ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এই ছবিটি দেশের সকল গাড়িচালককে রাস্তায় নামার আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়াতে উৎসাহ জোগায়।
ছোট ছোট এই বাচ্চাদের আন্দোলন আজ দেশবাসীর দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণের আন্দোলন হয়ে উঠেছে। এখানে যারা লাইসেন্স দেখাচ্ছেন তাদেরও পরিবার-স্বজন প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাইরে বেরোচ্ছেন। কাজেই পুলিশ-সার্জেন্টদেরই বা এই আন্দোলনে সমর্থন থাকবে না কেন? এই প্রশ্ন কিশোরদের মনেও খেলা করে। তাদের এই প্রশ্ন অবান্তর কিংবা অবাস্তব কিনা, বুদ্ধিসম্পন্ন ও বিবেকবান মানুষের মনে সে প্রশ্ন ওঠার প্রশ্নই ওঠে না।
যারা গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালান তাদের প্রত্যেকের পকেটে বৈধ লাইসেন্স থাক। দেশের প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে সড়কে চলাচল করুক। আন্দোলন সফল হোক। যতটুকু আমাদের প্রয়োজন, ততটুকুই মিটে যাক। খুব বেশি কিছু চায় না দেশবাসী। কেবল সড়কে চলাচলে নিরাপত্তা চায়।