শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। এখন শুধু ভোটের অপেক্ষা। রবিবার সকাল থেকেই এ তিন সিটিতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। টানা কদিনের জমজমাট প্রচারণা শেষে সবই যেন থমকে আছে আগামীকালের (৩০ জুলাই ২০১৮) নির্বাচনের জন্য। তবে কৌশলী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। তিন সিটিতে মোট ১৭ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নগর পিতা নির্বাচিত করবেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
রাসিকের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই সাবেক মেয়রসহ ৫ প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ এবং সংরক্ষিত নারী কাাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৫২ জন প্রার্থী।
এই নগরীর মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী। ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে নগরীতে ১৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আরও চার প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন
সিসিক নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করবেন।
এবার নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৪ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ২৭টি টিম কাজ করছে। ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৭ জন পুলিশ, ১২ জন আনসার সদস্য আগ্নেয়াস্ত্রসহ আনসার বাহিনীর একজন প্লাটুন কমান্ডার ও একজন এপিসি এবং একজন ব্যাটলিয়ান আনসার সদস্য থাকবেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র সমূহে ২ জন করে অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য অস্ত্রসহ থাকবেন। এছাড়া ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম ৯টি, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
সিসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রে ২৯৪৮ জন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন
বিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।
নগরীতে ১২৩টি কেন্দ্রের ৭৫০টি বুথে বিরামহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরমধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের ১টি কেন্দ্রে ৭৮টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে।
বিসিসি নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি অধিক গুরুত্বপূর্ন (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ৬২টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন এবং আনসার মিলিয়ে ১৪ জন সশস্ত্রসহ মোট ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১২ জন সশস্ত্র পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারসহ মোট ২২ জন সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন ছাড়ও পুলিশের একাধিক দলকে টহল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রিজার্ভ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচারের জন্য ১০ জন নির্বাহী এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৯ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও র্যাবের ৩৫টি টহল দল ও সাদা পোশাকধারীসহ প্রায় সাড়ে ৩শ সদস্য কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।