বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে যে কোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা যে কোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আর এর মাধ্যমেই আমরা সীমান্ত সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন। খবর ইউএনবি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে।
জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সনীতি অবলম্বন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী, গ্রুপ বা জনগণের ওপর কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দেয়া হবে না।
বর্তমান সরকারের সময় দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামীণ পর্যায়েও উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক সাধারণ জনগণের নেতা ছিলেন। তিনি সর্বদা সাধারণ মানুষের উন্নয়ন চেয়েছেন। আমরা তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নের মতো বাংলাদেশে জিডিপিতে ৭.৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ কলকাতায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকটি ছিল অন্যতম ফলপ্রসূ।
আঞ্চলিক ডায়ালগের মাধ্যমে এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের ওপর গুরুত্বারোপ করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, কিন্তু কয়েকটি দেশের অসহযোগিতায় সেটি হচ্ছে না।
বাংলাদেশে-ভারত দুই দেশের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, বর্তমানে দেশ দুটির সম্পর্ক চূড়ায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের ৭.৭৮ জিডিপি অর্জনের প্রশংসা করে ভারতের মন্ত্রী আরও বলেন, সম্ভবত এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ ও দ্রুতগতির জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বরাজ রাজ শর্মা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র সচিব (জন নিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, মুখ্য সচিব এম নজিবুর রহমান প্রমুখ।