জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে কৃষি ক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রতিকূল পরিবেশ অঞ্চলের জন্য কৃষি কর্মসূচি গ্রহণ, সংকটাপন্ন অঞ্চলের পানি উত্তোলনের সতর্কতা অবলম্বনের বিষয় যুক্ত করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
শফিউল আলম বলেন, নতুন কৃষি নীতিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আগে ছিল ১৮টি অধ্যায় ও ৬৩টি অনুচ্ছেন। সেখানে এখন ২২টি অধ্যায় ও ১০৬টি অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদ হয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ ও কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, লাভজনক, উৎপাদনশীল, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনশীলতা ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করাই মুল উদ্দেশ্য।
তিনি আরো বলেন, ন্যানোপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়টি এখানে আনা হয়েছে, নীতিমালায় ন্যানো প্রযুক্তিকে গবেষণার বিষয় হিসেবে দেখানো আছে।
তিনি বলেন, ন্যানো প্রযুক্তিকে গবেষণা বিষয় হিসেবে দেখানো আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ফসলের রোগ, ফসলের জাতভিত্তিক পুষ্টি চাহিদা নির্ণয়, পুষ্টি আহরণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদের আলোচনায় পাট বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তিল ও তিশি চাষ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া, শিশু একাডেমি আইন ২০১৮ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশু শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে যারা অবদান রাখছেন, তাদের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সম্মানসূচক ফেলো চালু করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে।