বৃষ্টিতে ভেজা নাকি শরীরে পক্ষে ভালো নয়! সত্যিই কি তাই, নাকি বিজ্ঞান অন্য কথা বলছে? একাধিক গবেষণার পর দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভিজলে হাজারো রোগ শরীরকে আক্রমণ করবে, এই ধরণা একেবারেই ভুল। বরং একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
নিমেষে স্ট্রেস লেভেল কমে যায় : তুমুল বৃষ্টিতে পাঁচ মিনিট ভিজলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়।
শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায় : বৃষ্টির পানি পান করেল শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। রক্তের পিএইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে শরীরে অ্যাসিডির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়।
মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে : বৃষ্টির পর কেমন মাটি থেকে সোঁদা গন্ধ বেরোয় দেখেছেন। এই গন্ধটাকে মন-প্রাণ দিয়ে শরীরের ভেতর নিয়ে যাবেন, দেখবেন নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে। গবেষকরা এই গন্ধকে “পেট্রিকোর” নামে ডেকে থাকেন। বৃষ্টি পরা মাত্র মটিতে উপস্থিত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল রিলিজ করে। যে কারণে এমন সোঁদা গন্ধ বেরতে শুরু করে।
শরীরের উপকার হয় : বৃষ্টির সময় হাওয়া-বাতাস খুব বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই তো ওই সময় শ্বাসের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা প্রতিটি বায়ু আমাদের দেহের উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির সময় পরিবেশে উপস্থিত টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাও খুব কমে যায়।
পেটের রোগের প্রকোপ কমে : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন চামচ বৃষ্টির পানি পান করলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
চুলের সৌন্দর্য বাড়ে : বৃষ্টির পানি দিয়ে চুল ধুলে স্কাল্পের একাধিক ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি খুশকি সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : বারি বর্ষণের সময় পরিবেশে থাকা জলীয় বাষ্প ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো হয়। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পর পর জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশে থাকা একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে ওঠে। বৃষ্টির পানি ত্বককে ভেতর থেকে পরিস্কার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্য়েই স্কিন তার হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পায়।
সতর্কতা : ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভেজা ঠিক নয়। এর বেশি হলে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আর কোনও ক্ষতি যদিও হয় না।