রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হতে যাওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ তাগিদ দেন। প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন-রোসাটমের ডাইরেক্টর জেনারেল সেগেই কিরিয়েঙ্গে। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সবার জন্য মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ সময়মতো হওয়া প্রয়োজন।
২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাবনা জেলার রূপপুরের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই ইউনিটে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ তৈরিতে রাশিয়ার সহযোগিতা চান তিনি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকালে শিডিউল অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান সেগেই কিরিয়েঙ্গে। রোসাটমের ডাইরেক্টর জেনারেল আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বর্জ্য জ্বালানি নিয়ে যাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রোসাটমের ডাইরেক্টর জেনারেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানান।