প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ দল ত্যাগ করে মন্ত্রিত্বের জন্য কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন মানুষকে ভালোবেসে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এ দেশ বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠত।
আজ শনিবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী কিছু সময়ের জন্য আবেগাপ্লুত হয়ে থমকে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
দেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইগুলো পড়বেন। এগুলো পড়লেই জানতে পারবেন এদেশের স্বাধীনতা ও মানুষের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে জাতির পিতার চিন্তা-ভাবনার কথা।
তিনি বলেন, আমার পরিবার বিশাল পরিবার। আমার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের পরিবার।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে, ছয় দফা দাবি, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে তার গ্রেপ্তার হওয়া, মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া এবং স্বাধীনতার ঘোষণার কথা তুলে ধরেন।
দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার কথা জানিয়ে দলটির তিনি বলেন, সবাইকে রেখে বিদেশে গেলেও আমাকে ফিরতে হয়েছে রিক্ত হাতে। কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। পেয়েছি সবচেয়ে বড় পরিবার আওয়ামী লীগকে।
তিনি বিএনপি ও জামায়াত জোটের সমালোচনা করে বলেন, আমরা সেনা ছাউনি থেকে বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র এনে দিয়েছি। পুরো রাজনীতিকে কুলসিত করে দিয়েছে তারা। তারা বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে না পারলেও নিজেদের ভাগ্য ঠিকই পরিবর্তন হয়েছে।
বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান, মহানগরের অধীন সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ এবং জেলা পরিষদের নির্বাচিত দলীয় সদস্যগণ উপস্থিত রয়েছেন।