ব্রাজিলের কোচ তিতে নেইমারের কাঁধে “দলের পুরো দায়িত্ব” চাপিয়ে না দিতে অনুরোধ করেছেন ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে।
২৬ বছর বয়সী নেইমার, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়, পায়ের ইনজুরিতে প্রায় তিনমাস মাঠের বাইরে থেকে সম্প্রতি খেলায় ফিরেছেন।
ব্রাজিলের প্রথম দুই বিশ্বকাপ ম্যাচের পারফরমেন্সের জন্য দারুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পারি সাঁ জার্মেইয়ের ফরোয়ার্ডকে।
কোচ তিতে বলেন, “তিনি সহজাত প্রতিভাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। কিন্তু এবার নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারছেন না বলেই এভাবে খেলছেন তিনি। চোট কাটিয়ে এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি তিনি।”
কোচ তিতে বলেন, “শেষ দুই ম্যাচে নেইমারের ‘হিট ম্যাপ’ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন তিনি কীভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন।তাঁর পারফরমেন্স ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।”
তিতে বলেন, “হয়তো পরের ম্যাচে নেইমার তাঁর সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলাটা খেলতে পারবেন। কিন্তু দলের পুরো দায়িত্ব তাঁর ওপর চাপিয়ে দেয়া উচিৎ হবে না।”
২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি ঐ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, যেম্যাচে ব্রাজিল জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে ধরাশায়ী হয়।
এবারের আসরে কোস্টারিকার বিপক্ষ জয়ের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁর কান্না নিয়েও নানাধরণের সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তিতে বলেন, “অনেক সময় মাঠে ঠান্ডা মাথায়, অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে আচরণ করতে হয়।”
“খেলোয়াড়রা কতটা চাপের মধ্যে থাকেন এবং তাদের মধ্যে কতটা আবেগ কাজ করে তা সম্পর্কে আমরা জানি। আবেগের সাথে যুক্তির সমন্বয় করে মাঠে খেলা চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত আবেগ থাকা মানেই যে সেই খেলোয়াড় ভারসাম্যহীন – এই বিশ্বাস একেবারেই ঠিক নয়।”
গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষম্যাচে ব্রাজিল খেলবে সার্বিয়ার বিপক্ষে। গ্রুপের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা।
গ্রুপ ই’র সমীকরণ
সার্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের।
ব্রাজিল আর সুইজারল্যান্ড একই ব্যবধানে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেলে গ্রুপ সেরা নির্ধারিত হতে পারে কার্ডের হিসেবে: ব্রাজিলের হলুদ কার্ড তিনটি, সুইজারল্যান্ডের চারটি। দুই দল যদি একই ব্যবধানে হেরে যায় তাহলে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় আসবে কার্ডের হিসেব।
ব্রাজিল সার্বিয়াকে হারালে কোস্টারিকার সাথে ড্র করলেই পরের পর্ব নিশ্চিত হবে সুইজারল্যান্ডের।
সুইজারল্যান্ডে এক গোলে হারলে এবং সার্বিয়া ড্র করলে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারিত হবে কারা বেশী গোল করেছে সেই ভিত্তিতে। সেই হিসেবে দুই দল সমান হলে সুইজারল্যান্ড পরের পর্বে যাবে কারণ তারা সার্বিয়াকে গ্রুপ ম্যাচে হারিয়েছে।
ব্রাজিলকে হারালে পরের পর্বে যাবে সার্বিয়া। সুইজারল্যান্ড এক গোলের বেশী ব্যবধানে কোস্টারিকার কাছে হারলে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে সার্বিয়ার পরের পর্ব।