ঢাকায় মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর ২৫ জুন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আজ সোমবার স্থগিতাদেশ না দিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
ফলে বিচারিক আদালতে খালেদার গ্রেপ্তার দেখানো পূর্বক জামিনের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে রবিবারহাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। গত ৩১ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুই মামলায় খালেদার জামিনসহ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশ দেন।
গত ২২ মে এ দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা দু’টি করা হয়। দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেদন জমা দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। আর ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট একই আদালতে আরেকটি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।