প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ও আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেওয়া এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছেন। গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েট নগরীর লা সিটাডেলে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন।
তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি কুইবেক পৌঁছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন জুয়ান ফুচ, হাইতির প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবীয় সম্প্রদায়ের সভাপতি জোয়েনাল ময়েজি এবং নৈশভোজে যোগ দেওয়া অন্যান্য অতিথিবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সেখানে আছেন। ট্রুডো জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের ১৫ জন সম্ভাবনাময় নেতাকে এই আউটরিচ অধিবেশনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর সংগঠন জি-৭-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১টা ৪০ মিনিটে কানাডা এয়ারের একটি বিমান টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাঁ লেসাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক এবং অন্টারিও প্রদেশের প্রটোকল বিভাগের উপ-প্রধান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগদানের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার লা মানোয়া রিশেলো হোটেলে জি-৭ আউটরিচ লিডার্স প্রোগ্রামে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রবিবার সকালে তাঁর কুইবেকে অবস্থানকালিন হোটেল শাত ফ্রন্তেনাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করবেন।