ডার্ক চকলেটে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে দেহের ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক শারীরিক উপকার …
চুল পড়ার হার কমে : অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়ে যাওয়ার কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। চকলেটটি খাওয়া মাত্র দেহে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে যে তার প্রভাবে সারা শরীরে রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়াতেও পুষ্টির ঘাঁটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুল পড়ার হার কমতে শুরু করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : ডার্ক চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত এই বিশেষ ধরনের চকলেটটি খাওয়া শুরু করলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুয়োগ পায় না।
ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটে : আপনি কি বুদ্ধিমান হতে চান? তাহলে তো ডার্ক চকলেট খেতেই হবে। কারণ এর মধ্যে ফ্লেবোনয়েড ব্রেন ফাংশনের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায় যে একদিকে যেমন বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করে, তেমনি অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি এবং মনযোগেরও বিকাশ ঘটে। চকলেটের পাশাপাশি ওয়াইন এবং লাল চায়েও প্রচুর মাত্রায় ফ্লেবোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই দু ধরনের পানীয় সেবন করলেও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায় : নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে দেহে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের খোঁজ পাওয়া মুশকিল হয়ে পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও সব জটিল রোগও ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে গেলে যে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ডার্ক চকলেটে দুধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। একটা হল ফ্লেবোনয়েড এবং দ্বিতীয়টি হল পলিফেনলস, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
অতি বেগুলি রশ্মির প্রভাব কম পরে : ডার্ক চকলেটকে গলিয়ে যদি নিয়মিত ত্বকে লাগানো যায়, তাহলে স্কিনের এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্কিনের উপরিঅংশে একটি “শিল্ড” তৈরি হয়ে যায়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সান বার্ন এবং স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : শরীরের ইঞ্জিন হলো হার্ট। তাই এই অঙ্গটির দেখভাল যদি ঠিক মতো করতে পারেন, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হার্টের কর্মক্ষমতা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবে। ডার্ক চকলেটের ফ্লেবোনয়েড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শক্তিশালী এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি হার্টের রক্তের প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে একেবারেই সময় লাগে না। ফ্লেবোনয়েড রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।
রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : টানা ৮ সপ্তাহ যদি নিয়মিত ডার্ক টকলেট খাওয়া যায়, তাহলে একদিকে যেমন রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়। দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি ব্লাড প্রসারের প্রকোপও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার প্রয়োজনও যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে : ডার্ক চকলেটের পলিফেনলস রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, তত হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে, সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরেরও অনেক উপকার হয়। এই কারণেই তো হার্টের রোগীদের নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।