Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

নারীর পছন্দের শীর্ষে এখনো শাড়ি

শাড়ি যুগ যুগ ধরেই বাঙালি নারীর পছন্দের পোশাক। তাঁত, মসলিন, কাতান, কাঞ্জিভরম, জামদানি, জর্জেট নানা রকমের শাড়ি আছে বাজারে। ‘আধুনিক’ নারীদের পছন্দের তালিকায় সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, লেহেঙ্গা, জিন্স, টি-শার্ট ইত্যাদি জায়গা করে নিলেও শাড়ির আবেদন এখনো কমেনি। রাজধানীতে এবারের ঈদ বাজার ঘুরেও পাওয়া গেছে এর সত্যতা।

রাজধানীর মিরপুর বেনারসি পল্লী, বেইলি রোড, আড়ংয়ের শোরুম, নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ বড় সব বিপণিবিতানে প্রায় সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা দোকানেও মিলছে এ পোশাক। ঈদকেন্দ্রিক বিভিন্ন মেলায়ও উঠেছে নানা রকমের দেশি-বিদেশি শাড়ি। তবে বরাবরের মতো এবারও দেশি শাড়ির চাহিদা বেশি।

আড়ংয়ে মসলিন শাড়ি কিনতে আসা গৃহিণী স্বপ্না রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শাড়ি ছাড়া ঈদ উৎসব হয় না। আমি ও পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য জামদানি শাড়ি কিনেছি। তবে আমার ভাইয়ের সদ্য বিবাহিত বউয়ের জন্য ১২ হাজার টাকার মসলিন কিনেছি।’

জামদানি, মসলিন, বেনারসি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, হাফ সিল্ক, কাতান, সুতি, পাবনার তাঁত, জুট কটন, জুট কাতান, মিরপুরি কাতান, নকশি সুতি শাড়ি, রাজশাহী সিল্ক, রেশমি সিল্ক, ভেজিটেবল ডাই, জর্জেট শাড়ির চাহিদা বেশি। তবে কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, খাদি কাতান, শিফন শাড়ির চাহিদাও কম নয়।

সরেজমিনে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, সুতির স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ড প্রিন্ট এক হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা, হাফ সিল্কের শাড়ি এক হাজার ২০০ থেকে ছয় হাজার, টাঙ্গাইলের সফট সিল্ক পাঁচ থেকে ১২ হাজার টাকা, খাদি এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার, রাজশাহী সিল্ক ৭০০ থেকে তিন হাজার, টাঙ্গাইলের হাফ সিল্ক ৯০০ থেকে ছয় হাজার, ভেজিটেবল ডাই ও হাতের কাজের শাড়ি এক হাজার ২০০ থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জর্জেট শাড়ি ৯০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বেনারসি দুই থেকে ৩০ হাজার, মসলিন পাঁচ থেকে ৩০ হাজার ও গুটি কাতান দুই থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আড়ংয়ের বিভিন্ন শাখায় নতুন ধরনের কয়েকটি শাড়ি তোলা হয়েছে। তবে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে কাতানে। কাতানের ওপর সুতার কাজের শাড়ি চলছে বেশি। এ ছাড়া শাড়িতে কাঁথার নকশার চাহিদাও রয়েছে। আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মীরা জানান, এবার মধ্যবিত্তের জন্য বিশেষ কিছু আয়োজন রয়েছে।

বেশি চাহিদা রয়েছে জামদানি শাড়ির। প্রায় সব ধরনের দোকানেই এ শাড়ি পাওয়া যায়। চাহিদা বিবেচনায় ৩৫টি জামদানি শাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের রকমারি জামদানি শাড়ি নিয়ে গত বুধবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মেলা বসানো হয়।

এবার বিভিন্ন নামের জামদানি শাড়ি আড়াই হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড় লাখ টাকার জামদানিও আছে। তবে এসব শাড়ির ক্রেতা কম।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top