তিনি বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আসছে। নিজেদের পরাজয়ের আশঙ্কায় তারা নানা অভিযোগ করে আসছে। এটা জনগণের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা। তারা চেষ্টা করছে এরকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যেন আন্দোলন করা যায়! আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিতে চাই, নির্বাচনের কমিশনের দায়িত্ব অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো আন্দোলনের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ভবিষ্যতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা বিএনপির মাথায় থাকলে এখনই দূর করার আহ্বান জানাচ্ছি।
হানিফ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অশুভ তৎপরতা করে সরকারকে হটানো যাবে না। এটাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা জানি, কোনো বিভক্ত জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। আর অভিশাপমুক্ত বাংলাদেশ গড়তেও আমাদের ঐক্য দরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের সঙ্গে নয়। বিএনপি ইতোমেধ্যে নিজেদের যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে প্রমাণ করেছে, তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই ঐক্য সম্ভব নয়। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।