ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব না হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সৌম্য সরকারের আগমন ঘটেছিল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। স্বপ্নের মতো কেটেছিল ২০১৫ সাল। তারপর ২০১৬ পুরোটাই গেল ফর্মহীনতায়। গতবছর ফর্মে ফিরতে শুরু করলেও ছিলেন অ-ধরাবাহিক। গত মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতেও তিনি ব্যর্থ। তারপরেও আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন এই বিধ্বংসী ওপেনার। কিন্তু কেন?
নিদাহাস ট্রফিতে ৫ ম্যাচ বিভিন্ন পজিশনে খেলে মাত্র ৫০ রান করেন এই প্রতিভাবান তরুণ। এর আগে জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এমন পারফর্মেন্সের কারণে সম্প্রতি তাকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে। আজ দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠে, যেহেতু নির্বাচকেরা ভালো পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন; তাহলে সৌম্য দলে সুযোগ পেলেন কীভাবে? জবাবে প্রধান নির্বাচক যা বললেন, তার মানে দাঁড়ায় সৌম্যর বিকল্প নেই।
মিনহাজুল বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমরা যত খেলোয়াড় নিয়ে চিন্তা করি, ওর (সৌম্য) কথাটা সবার আগে চলে আসে। ওর বিষয়টি নিয়ে আমরা অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা সৌম্যর ব্যাপারে ইতিবাচক। কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে তো আমাদের সব সময়ই কথা হয়। যেহেতু ও নিদাহাস ট্রফিতে ছিল, তাই তার পরামর্শও আমরা নিয়েছি।’
প্রধান নির্বাচকের কথায় পরিস্কার, আরও একটি সুযোগ পেতে যাচ্ছেন সৌম্য। তবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এমন সুযোগ তিনি নিশ্চয়ই বারবার পাবেন না। সৌম্যসহ ১৫ সদস্যের দলের ওপর নির্বাচকরা যে পুরোপুরি আস্থা রেখেছেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় মিনহাজুলের কথায়, ‘প্রতিটি সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে আমার অনেকটা পিছিয়ে আছি। আমাদের সেরা দলটা তাই পাঠানোর চিন্তা করেছি। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও আছে। চেষ্টা করেছি আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটা গঠন করতে