বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ২৫ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালতে মওদুদ আহমদের পক্ষে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে আসামীপক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৫ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। মামলার দুই আসামি শহীদুল ইসলাম ও একে মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
গত ৫ মে আসামি শফিউল রহমান মারা যাওয়ার বিষয়টিও অবহিত করে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আদালত আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৫ জুন ঠিক করেন। ওই তারিখে আসামিদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয় আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়া বলেন, এ মামলার একজন আসামি মারা গেছেন। বিষয়টি অবহিত করে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলাটিতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান এবং প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি হয়নি।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। আসামিরা হলেন-চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।