নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে গাজীপুর ও খুলনায় ভোটের এক সপ্তাহ আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদকে প্রত্যাহারের দাবি এসেছে দলটির কাছ থেকে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সাথে এক বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুরু হওয়া প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের ৭ দিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহলসহ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুর জেলায় বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে গাজীপুরে ইউপি নির্বাচনের সময় একটি বিশেষ দলের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়ায় তাকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একবার প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তাছাড়া গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকায় কর্মরত মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের মতো সিভিল প্রশাসন ও পুলিশের চিহ্নিত দলবাজ ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বদলীপূর্বক নিরপেক্ষ পেশারদার কর্মকর্তা পদায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলো নির্বাচন কমিশন ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’
জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনেও বিএনপি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে স্থানীয় ভোটে সেনা মোতায়েন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান এর বিপরীতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা নিজেও সম্প্রতি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনি সেনা মোতায়েনের পক্ষে নন।
১৫ মে ভোটের দিন রেখে দুই সিটির নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঠিক হয়েছে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত।