আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অভিযান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় মন্ত্রীর সাথে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনজন রোগী। পরে মন্ত্রী ওই তিনজনকে সাথে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। মন্ত্রী তিনজনকেই নিজের গাড়িতে উঠিয়ে নেন।
জানা গেছে, মা ও মেয়ে দুজনেই এসিডে আক্রান্ত হয়েছে। মায়ের নাম মা বিলকিস বেগম,মেয়ের নাম বিথী। দুজনের মুখ একেবারে পাল্টে গেছে। মেয়ের ডান হাত এমনভাবে ঝলছে গেছে যে, হাতের কবজি কেটেই ফেলতে হয়েছে। অন্যজন মিজান। সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পাওয়ার পর হাঁটুর নিচে প্রায় পচন ধরেছে। চিকিৎসার টাকা নেই। তাই সেতুমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন।
মন্ত্রী তার নিজ গাড়ির সামনের আসনে বসে দুই মা ও মেয়েকে পেছনের আসনে বসান। আর মিজানকে প্রটোকলের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।
মাও মেয়ের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তার মামাকে অ্যাসিড মারতে এসে মা ও মেয়েকে অ্যাসিড মারে সন্ত্রাসীরা। মামা সেদিন ভয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন না। এমনকি মামা যেখানে ছিলেন সেখানেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।অথচ আজ পর্যন্ত কোনো বিচার পাননি তারা। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সব খুলে বলার পর তিনি ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান।
অন্যদিকে পায়ে দগদগে ঘা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজান। মন্ত্রী তাকে দেখে এগিয়ে যান। তার পা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। জানতে চাইলে সব খুলে বলেন মিজান। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী তাকে গাড়িতে তুলে নেন।
মন্ত্রীর সহকারীর একান্ত সচিব আবুল তাহের মো. মহিদুল হক তাদের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি জানান, তিনজনকেই ডাক্তার দেখানো হচ্ছে। ডাক্তার প্রয়োজনবোধ করলে তাদের ভর্তি করা হবে।