আগামী ৭ মে’র মধ্যে কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল, সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেটাই সরকারের বক্তব্য।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কারের বিষয়ে অন্য কেউ যদি কিছু বলে থাকে সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেছেন।
ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনে হামলা করা হয়েছে, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,‘ভিসির বাড়ির যতোগুলো সিসি ক্যামেরা ছিলো সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে মনিটরটা ছিলো সেটাও তারা নিয়ে গেছে। তারপরেও আমাদের কাছে কিছু আছে, আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) ক্যামেরার ফুটেজগুলো আমাদের কাছে রয়েছে। এগুলো দেখে আমরা তাদের সনাক্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নেবো।’
তিনি বলেন, হামলায় কারা জড়িত তা শনাক্তে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের সব বিভাগ কাজ করছে। এদের শনাক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ভিসির বাড়ি, গাড়ি ও আসববাপত্র ভাঙচুর হয়েছে, খোয়া গেছে। মুখোশ পরে আগে নারী ও পরে পুরুষরা ঢুকেছে।
কামাল বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করতেই পারে। নো ছাত্র এ কাজ করতে পারে না। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এ কাজে জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নীলক্ষেত প্রান্ত দিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে। হাজার খানেকেরও বেশি মানুষ ঢুকেছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ছাত্ররা মুখোশ পড়বে কেন?’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ছাড়াও অনেকেই গুজব ছড়িয়েছেন। যারা যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের হামলায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ভুয়া সংবাদ ফেসবুকে যে ছড়িয়েছে তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা ছাত্রদের উত্তেজিত করেছে। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হবে।
তিনি বলেন, ভিসির বাড়িতে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়, জঘন্য। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই এটি করা হয়েছে। ভিসিকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। সচেতন সমাজ এটি সমর্থন করতে পারে না।