গরম চলে এসেছে। কিছু দিন বাদেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হবে। অতিরিক্ত ঘাম, পানিশূন্যতা, ক্ষুধামন্দা কিংবা ত্বকের র্যাশ বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অবস্থায় স্রেফ একটি খাবার আমাদের অনাবিল প্রশান্তি এনে দিতে পারে। এর সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। তবুও আসছে গরমে এ সবজির ওপর ভরসা রাখুন। এখানে জেনে নিন শসার অনন্য কিছু গুণের কথা।
১. দেহকে পানিপূর্ণ রাখে শসা। সেই সঙ্গে দেহের সব ধরনের দূষিত উপাদান বের করে দেয়। কাজেই গরমে এসব কাজের গুরুভার চাপাতে পারেন শসার ওপর। আবার পানির সঙ্গেও শসা মিলিয়ে খেতে পারেন। আট গ্লাস বিশুদ্ধ পানিতে দুটো শসা কুচি করে কেটে দিন। এক চিমটি লবণও দিতে পারেন। ভালো করে মিশিয়ে অন্তত ৪ ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। এই পানি তিন দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
২. বেশ কিছু জরুরি পুষ্টি উপাদান রয়েছে শসাতে। ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরটাকে সুস্থ রাখে।
৩. ত্বকের জেল্লাই বৃদ্ধি করে শসা। এটা ছেঁচে যদি মুখে দিতে পারেন তবে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা চলে যাবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সামান্য শসা ছেঁচে তার সঙ্গে টক দই ও মধু দিয়ে পেস্টের মতো বানাতে পারেন। এটা ত্বকে ফেস মাস্কের মতো ব্যবহার করুন।
৪. চোখের নিচে ফোলাভাব এবং কালো দাগ অতি যন্ত্রণার বিষয়। এটা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে শসা। রেফ্রিজারেটরে রাখা দুই চাকতি শসা চোখের নিচে দিয়ে রাখুন। প্রতিদিন ৮-১০ মিনিট রাখবেন। ফলাফলটা নিজেই দেখতে পাবেন।
৫. প্রখর সূর্যের জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচতে শসা ওষুধের মতো কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক টুকরা শসা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। তাতে মেশান ঠাণ্ডা টক দই। এটা অনেকটা ফেস মাস্কের মতোই। এটা ঘাড়ে ও মুখে মাখতে পারেন। জ্বালাপোড়া কমে যাবে।