Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

নিজামীর আপিলের রায় ৬ জানুয়ারি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের রায় ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে।দুই পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার রায়ের ওই দিন ধার্য করে।বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনে শেষ হয় নিজামীর আপিল শুনানি।রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।আদালতে নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।এর আগে সোমবার ৭ ডিসেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন অ্যার্টনি  জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।মতিউর রহমান নিজামীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে খালাস দাবি করেন তার আইনজীবীরা।নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, আমরা যেসব প্রমাণ ও যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করেছি আশা করি মতিউর রহমান নিজামী খালাস পাবেন। তারপরও আদালত যদি আমাদের সেই যুক্তিতর্ক ও প্রমাণ আমলে না  নেন তাহলে আসামির বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা দেখে তার সর্বচ্চো শাস্তি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করেন আমরা তাই কামনা করি।এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শাস্তি কমানোর বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনার মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোন মানবতাবিরোধীর অপরাধের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। তবে তিনি জানান, আমরা আশা করি আসামির সর্বোচ্ছ শাস্তি আপিলেও বহাল থাকবে।জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান।স্বাধীনতাকামী বাঙলির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে আসে।২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top