জাতীয় সংসদে যাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নাই, নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার তাদের কোনো সুযোগ নাই। ২০১৮ সালের শেষের দিকে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের দ্বায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবেন। আগাম নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করার কোন পথ নাই। কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেই দল বিলীন হয়ে যাবে।
আজ রবিবার সকল ১১টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের চতুর্থ তলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও কলাতিয়া স্কুল-কলেজের সুপার মার্কেটের শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার, দুর্নীতিবাজদের বিচার, ১০ট্রা ক অস্ত্রের বিচার এবং এতিমদের টাকা যারা মেরে খায় তাদের বিচার করতে পেরেছি।
বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে দুর্নীতির দায়ে আপনাকে আদালত সাজা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন কী পারবেন না তা দেখার বিষয় আদালতের আমাদের নয়। আমরা আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশে যাত্রা করেছি। ২০৪০ সালে আমরা চূড়ান্ত উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবো এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পা রাখবো।
শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের ১০ জন সেরা রাষ্ট্রনায়কের একজন এবং বিশ্বের ৫ জন সৎ রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে তার অবস্থান ৩ নম্বরে। দেশে মানুষের কোনো অভাব নাই, হাহাকার নাই। উত্তরবঙ্গে কোন মঙ্গা নাই। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, যোগ করেন তিনি।
উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, মানুষ যাতে আমাদের পক্ষে থাকে সেজন্য আমাদেরকে সেভাবেই কাজ করতে হবে। মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে, ভয় না দেখিয়ে ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে হবে।
কলাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, হাজী আবু সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ডাক্তার ইফতেখার আহমেদ শাওন, আলতাপ হোসেন বিপ্লব, কৃষকলীগ নেতা জাকিউদ্দিন রিন্টু, কলাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত আলী ও যুবলীগ নেতা শেখ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।